ঢাকা, মঙ্গলবার ১৭, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০:৫৫:২১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আকস্মিক বন্যা-বৃষ্টিতে ক্ষতি যেসব জেলায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু চীনে ৭০ বছর পর শক্তিশালী টাইফুনের আঘাত রাজধানীতে তীব্র মাথাব্যথা নিয়ে তরুণীর মৃত্যু! সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু আটক সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গ্রেপ্তার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

হাসপাতালে ভর্তি হলে ধর্ষণের শিকার হতে হবে: স্বস্তিকা 

বিনোদন ডেস্ক   | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পরই সামনে এসেছে অভিনেত্রীদের ওপর যৌন হেনস্তার বিষয়টি। তাদের নিরাপত্তা নিয়েও এসেছে প্রশ্ন। এ অবস্থায় শ্লীলতাহানি রুখতে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফে ‘সুরক্ষা বন্ধু’ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। নারী অভিনয় শিল্পীদের নিরাপত্তাজনিত বিষয় নিয়ে কাজ করবে সংগঠনটি। 

তবে বিষয়টি খুব একটা সন্তুষ্ট নন টলিউডের নারীরা। রীতিমতো বিরক্ত তারা। যা প্রকাশ পেয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী চক্রবর্তীদের কথায়। স্বস্তিকার মন্তব্য, রাস্তায় শৌচকর্ম সারতে হয় অভিনেত্রীদের। সেখানে নিরাপত্তা তো সোনার হরিণ। এ সময় নায়িকার বিস্ফোরক মন্তব্য, হাসপাতালে ভর্তি হলে ধর্ষণের শিকার হতে হবে। 

গতকাল রোববার মহামিছিলে সুরক্ষা কমিটির ওপর ক্ষোভ উগরে দেন তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে স্বস্তিকা বলেন, “আর জি কর ঘটনার পর কেন সিনেজগতের মহিলাদের নিরাপত্তার কথা ভাবা হচ্ছে? এতদিন কেন ভাবা হয়নি? রাস্তায় আউটডোরে শুটিং করতে গেলে, রাস্তাঘাটে আমাদের শৌচকর্ম করতে হয়। নারীদের শৌচকর্ম করার মতো ভালো কোনো জায়গা নেই আমাদের রাজ্য তথা দেশে। আমাদের মতো একই অবস্থা আর পাঁচজন নারীরও। ধাবার শৌচালয়গুলো এত নোংরা যে সেটা ব্যবহার করলে যৌনরোগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। আর হাসপাতালে ভর্তি হলে ধর্ষণের শিকার হতে হবে।” 

অভিনেত্রী অভিযোগের সুরে বলেন, “কেন প্রেস কনফারেন্সে ‘সুরক্ষা বন্ধু’ ঘোষণা করার আগে টলিউডের সকল মহিলা শিল্পীদের সঙ্গে সুবিধে-অসুবিধে নিয়ে আলোচনা করা হল না?”

সোহিনী বলেন, “কোনো রাজনৈতিক দলের কেউ যদি বলেন আমাদের সুরক্ষিত রাখবেন, আমরা মেনে নেব না। আমরা অভিনেত্রীরা যারা আছি, নিজেদের সুরক্ষা আমরা নিজেরা ঠিক করব। আর সারা পশ্চিমবঙ্গের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে সরকারের তরফ থেকে বলতে হবে। আর আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ক্ষোভের কথা যদি বলি, আমরা অভিনেত্রীরা নিয়ম বানিয়ে নেব। শাসকদলের কেউ এসে আমাদের নিয়ম বানিয়ে দেবে না।” 

অভিনেত্রীর ভাষ্য, “সব রাজ্যের নারীরা আওয়াজ তুলুন, তাদের সরকারের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করতে হবে। সাধারণ মানুষ যখন একজোট হয়, তখন অনেক সরকার, প্রশাসন নড়ে গেছে।”